কবিতা বিভিন্ন শৈলীতে লেখা হয়, যার মধ্যে রূপক কবিতা অন্যতম। এটি একটি কাব্যরীতি যেখানে অর্থকে প্রতীকীভাবে উপস্থাপন করা হয়, যাতে পাঠক শব্দের আড়ালে লুকিয়ে থাকা গভীরতর ভাব বুঝতে পারেন।
Table of Contents
রূপক কবিতা কাকে বলে?
রূপক কবিতা হল এমন এক ধরনের কবিতা যেখানে কোনো বিষয় বা ভাবকে সরাসরি প্রকাশ না করে প্রতীকের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। এখানে প্রাকৃতিক উপাদান, জীবজন্তু, পৌরাণিক চরিত্র বা কল্পনাপ্রসূত বস্তু ব্যবহার করে গভীর অর্থ প্রকাশ করা হয়।
উদাহরণ:
একটি কবিতার লাইন –
“এই জীবন সাগর তীরে, কে জানে কার ডুব হবে!”
এখানে “জীবন” শব্দটি বাস্তব জীবন বোঝায়, আর “সাগর” জীবনসংগ্রামের প্রতীক।
রূপক কবিতার বৈশিষ্ট্য
- প্রতীকী ভাষা: এখানে সরাসরি অর্থ না বলে রূপকের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হয়।
- গভীর ভাবার্থ: সাধারণ পাঠককে ভাবতে বাধ্য করে।
- কল্পনা ও চিত্রকল্প: সুন্দর বর্ণনা ও কল্পনার মিশ্রণ থাকে।
- দর্শন ও নৈতিক শিক্ষা: সমাজ বা ব্যক্তিগত জীবনের জন্য গভীর শিক্ষা প্রদান করে।
রূপক কবিতার কিছু উদাহরণ
- কাজী নজরুল ইসলামের রূপক কবিতার একটি বাক্য:
“চল চল চল, ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল!”
এখানে “মাদল” শব্দটি সংগ্রামের প্রতীক। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রূপক কবিতার একটি বাক্য:
“আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।”
এখানে “সোনার বাংলা” বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও ভালোবাসার প্রতীক।
রূপক কবিতা শুধু কাব্যিক সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে না, বরং মানুষের চিন্তাশক্তিকে জাগ্রত করে। এটি সাহিত্য জগতে এক গুরুত্বপূর্ণ শৈলী, যা পাঠকদের মনের গভীরে ভাবনার খোরাক জোগায়।
আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। পোস্ট টি উপকারে আসলে অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।