বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার মান তাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, মুদ্রাস্ফীতি, বাণিজ্য ভারসাম্য এবং অন্যান্য আর্থিক সূচকের উপর নির্ভর করে। নিচে বর্তমান শীর্ষ ২০টি মূল্যবান মুদ্রার তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে প্রতিটি মুদ্রার মান বাংলাদেশি টাকার (BDT) সাথে তুলনা করা হয়েছে: (তারিখ ১৪/৩/২০২৫)
বিঃদ্রঃ টাকার মান সবসময় কম-বেশি হতে থাকে, তো হতে পারে আপনি যখন আমাদের এই আর্টিকেল টি পড়ছেন সে সময়ে আমাদের দেওয়া তথ্য পুরোপুরি একুরেট নাও হতে পারে!
ক্রম | দেশের নাম | মুদ্রার নাম | ১ মুদ্রার মান (BDT) |
---|---|---|---|
১ | কুয়েত | কুয়েতি দিনার (KWD) | ৩৯৭.৩৭ টাকা |
২ | বাহরাইন | বাহরাইনি দিনার (BHD) | ৩২২.০৩ টাকা |
৩ | ওমান | ওমানি রিয়াল (OMR) | ৩১৬.০৯ টাকা |
৪ | জর্ডান | জর্ডানিয়ান দিনার (JOD) | ১৭১.৩৭ টাকা |
৫ | যুক্তরাজ্য | ব্রিটিশ পাউন্ড (GBP) | ১৫৯.১৯ টাকা |
৬ | জিব্রাল্টার | জিব্রাল্টার পাউন্ড (GIP) | ১৫৯.১৯ টাকা |
৭ | কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ | কেম্যান আইল্যান্ডস ডলার (KYD) | ১৪৫.৮১ টাকা |
৮ | সুইজারল্যান্ড | সুইস ফ্রাঙ্ক (CHF) | ১৪২.১৮ টাকা |
৯ | ইউরোপীয় ইউনিয়ন | ইউরো (EUR) | ১৩০.০৪ টাকা |
১০ | যুক্তরাষ্ট্র | মার্কিন ডলার (USD) | ১২১.৫৭ টাকা |
১১ | কানাডা | কানাডিয়ান ডলার (CAD) | ৯৪.৮৮ টাকা |
১২ | সিঙ্গাপুর | সিঙ্গাপুর ডলার (SGD) | ৯০.৯৬ টাকা |
১৩ | অস্ট্রেলিয়া | অস্ট্রেলিয়ান ডলার (AUD) | ৮৮.৭৩ টাকা |
১৪ | ব্রুনেই | ব্রুনেই ডলার (BND) | ৯০.৯৬ টাকা |
১৫ | লিবিয়া | লিবিয়ান দিনার (LYD) | ৮৯.৭৫ টাকা |
১৬ | নিউজিল্যান্ড | নিউজিল্যান্ড ডলার (NZD) | ৮৩.৪৭ টাকা |
১৭ | ফিজি | ফিজি ডলার (FJD) | ৫৭.১৪ টাকা |
১৮ | সৌদি আরব | সৌদি রিয়াল (SAR) | ৩২.৮২ টাকা |
১৯ | কাতার | কাতারি রিয়াল (QAR) | ৩২.৮২ টাকা |
২০ | সংযুক্ত আরব আমিরাত | আমিরাতি দিরহাম (AED) | ৩২.৮২ টাকা |
উপরের তালিকা থেকে দেখা যায় যে, কুয়েতি দিনার (KWD) বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান মুদ্রা, যেখানে ১ কুয়েতি দিনার সমান ৩৯৭.৩৭ বাংলাদেশি টাকা। এরপর বাহরাইনি দিনার (BHD) এবং ওমানি রিয়াল (OMR) যথাক্রমে ৩২২.০৩ টাকা এবং ৩১৬.০৯ টাকার সমান। এই মুদ্রাগুলোর উচ্চ মূল্যের প্রধান কারণ হলো তাদের দেশের তেলসম্পদ এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা।
মুদ্রার মান নির্ধারণের কারণসমূহ:
১. অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা: মুদ্রার মান সাধারণত সেই দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর নির্ভর করে। শক্তিশালী অর্থনীতি মুদ্রার মান বৃদ্ধি করে।
২. মুদ্রাস্ফীতি: নিম্ন মুদ্রাস্ফীতি মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যা মুদ্রার মানকে শক্তিশালী করে।
৩. রপ্তানি ও আমদানি ভারসাম্য: রপ্তানি বেশি হলে মুদ্রার চাহিদা বৃদ্ধি পায়, যা মুদ্রার মান বাড়ায়।
৪. বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ: উচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ মুদ্রার মান স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করে।
মুদ্রার মান একটি দেশের অর্থনৈতিক শক্তি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উপর নির্ভর করে। উপরের তালিকায় উল্লেখিত মুদ্রাগুলো তাদের দেশের অর্থনৈতিক শক্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতিফলন। তবে মুদ্রার মান সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে, তাই সর্বদা আপডেট তথ্যের জন্য নির্ভরযোগ্য সূত্র পরিদর্শন করা উচিত।