বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি এবং দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। ফলে, সরাসরি ইসরায়েলি পণ্যের আমদানি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ থাকলেও, কিছু আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের পণ্য পরোক্ষভাবে বাজারে পাওয়া যায়, যেগুলোর উৎপত্তি বা মালিকানা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। তবে, এই সম্পর্ক সরাসরি নয়; বরং এই ব্র্যান্ডগুলো বিভিন্ন দেশের মালিকানাধীন বা পরিচালিত, এবং তাদের মধ্যে কিছু ইসরায়েলি মালিকানাধীন হতে পারে। নিচে বিভিন্ন পণ্যের ক্যাটাগরিতে এমন কিছু ব্র্যান্ড ও পণ্যের তালিকা দেওয়া হলো:
১. পানীয়:
- কোকা-কোলা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কোমল পানীয় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান, যা ইসরায়েলে ব্যবসা পরিচালনা করে।
- পেপসি: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান, যা ইসরায়েলে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
- স্প্রাইট: কোকা-কোলা কোম্পানির একটি ব্র্যান্ড।
- ফ্যান্টা: কোকা-কোলা কোম্পানির একটি ব্র্যান্ড।
২. খাদ্যদ্রব্য:
- ম্যাগি: নেসলে কোম্পানির একটি ব্র্যান্ড, যা সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক এবং ইসরায়েলে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
- কিটক্যাট: নেসলে কোম্পানির একটি ব্র্যান্ড।
- নেসক্যাফে: নেসলে কোম্পানির একটি ব্র্যান্ড।
- কেএফসি: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ফাস্ট ফুড চেইন, যা ইসরায়েলে ফ্র্যাঞ্চাইজি পরিচালনা করে।
- পিজা হাট: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ফাস্ট ফুড চেইন, যা ইসরায়েলে ফ্র্যাঞ্চাইজি পরিচালনা করে।
৩. প্রযুক্তি:
- ইন্টেল: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রযুক্তি কোম্পানি, যার ইসরায়েলে গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র রয়েছে।
- আইবিএম: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রযুক্তি কোম্পানি, যার ইসরায়েলে কার্যক্রম রয়েছে।
- নকিয়া: ফিনল্যান্ড ভিত্তিক টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি, যা ইসরায়েলে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
৪. প্রসাধনী ও ব্যক্তিগত যত্ন:
- লরিয়াল: ফরাসি প্রসাধনী ব্র্যান্ড, যা ইসরায়েলে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
- গার্নিয়ার: লরিয়াল কোম্পানির একটি ব্র্যান্ড।
- ভ্যাসলিন: ইউনিলিভার কোম্পানির একটি ব্র্যান্ড, যা ইসরায়েলে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
- ডাভ: ইউনিলিভার কোম্পানির একটি ব্র্যান্ড।
- পন্ডস: ইউনিলিভার কোম্পানির একটি ব্র্যান্ড।
৫. ফ্যাশন ও পোশাক:
- ক্যালভিন ক্লেইন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ফ্যাশন ব্র্যান্ড, যা ইসরায়েলে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
- গ্যাপ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ফ্যাশন ব্র্যান্ড, যা ইসরায়েলে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
- নাইকি: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক স্পোর্টসওয়্যার ব্র্যান্ড, যা ইসরায়েলে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
৬. গাড়ি:
- ফোর্ড: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, যা ইসরায়েলে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
- জেনারেল মোটর্স: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, যা ইসরায়েলে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
৭. ল্যাপটপ ও ইলেকট্রনিক্স:
- ডেল: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, যা ইসরায়েলে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
- হিউলেট-প্যাকার্ড (এইচপি): মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রযুক্তি কোম্পানি, যার ইসরায়েলে কার্যক্রম রয়েছে।
৮. মিডিয়া ও বিনোদন:
- সিএনএন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম, যা ইসরায়েলে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
- ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল, যা ইসরায়েলে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
উল্লেখযোগ্য বিষয়: উপরের তালিকায় উল্লেখিত ব্র্যান্ডগুলো আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত এবং বিভিন্ন দেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। তবে, তাদের ইসরায়েলে কার্যক্রম থাকার কারণে কিছু ভোক্তা এই পণ্যগুলো বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এটি সম্পূর্ণভাবে ব্যক্তিগত পছন্দ ও নৈতিক অবস্থানের উপর নির্ভর করে।
সতর্কতা: উপরের তথ্যগুলো বিভিন্ন অনলাইন সূত্র থেকে সংগৃহীত। তালিকাভুক্ত ব্র্যান্ডগুলোর ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। সুনির্দিষ্ট তথ্যের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্র্যান্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা নির্ভরযোগ্য সূত্র পরিদর্শন করা উচিত।
উপসংহার: বাংলাদেশে ইসরায়েলি পণ্যের উপস্থিতি সরাসরি না থাকলেও, কিছু আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের পণ্যের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে থাকতে পারে।
বিঃদ্রঃ আর্টিকেল টি Ai এর সাহায্য নিয়ে লেখা। আর্টিকেলে কোনো পন্য বাদ গেলে বা কোনো ভুল হয়ে থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন ইনশাআল্লাহ!