Table of Contents
সোনার তরী কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
সোনার তরী কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও তার উত্তর
Credit: তথ্যাদি
সোনার তরী কবিতার জ্ঞান মূলক প্রশ্নসমূহ | সোনার তরী কবিতার জ্ঞান মূলক প্রশ্নের উত্তরসমূহ |
১. “সোনার তরী” কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত? | “সোনার তরী” কবিতাটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত। |
২. “সোনার তরী” কবিতার পূর্ণ পর্ব ও অপূর্ণ পর্ব কত মাত্রার? | “সোনার তরী” কবিতার পূর্ণ পর্ব ৮ মাত্রার ও অপূর্ণ পর্ব ৫ মাত্রার। |
৩. “সোনার তরী” কবিতাটি কী জাতীয় কবিতা? | “সোনার তরী” কবিতাটি রূপক কবিতা। |
৪. “সোনার তরী” কবিতায় গ্রামের অবস্থা কেমন ছিল? | “সোনার তরী” কবিতায় গ্রামের অবস্থা মেঘে ঢাকা ছিল। |
৫. “সোনার তরী” কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত? | “সোনার তরী” কবিতাটি ‘সোনার তরী’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। |
৬. ১৮. “সোনার তরী” কবিতাটি কবি কখন কিভাবে কোথায় লেখেন? | “সোনার তরী” কবিতাটি কবি ১২৯৮ বঙ্গাব্দে (১৮৯২ সালে) শিলাইদহে রচনা করেন। |
৭. “সোনার তরী” কবিতায় ‘আমি’ শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে? | আমি- সাধারন অর্থে কৃষক । প্রতীকী অর্থে শিল্পস্রষ্টা কবি নিজে । |
৮. ‘‘সোনার তরী’’ কবিতায় মাঝিকে কৃষকের পরিচিত মনে হলেও তাঁর আচরণে কী ছিল? | ‘‘সোনার তরী’’ কবিতায় মাঝিকে কৃষকের পরিচিত মনে হলেও তাঁর আচরণে ছিল অপরিচয়ের নির্বিকারত্ব ও নিরাসক্তি । |
৯. “সোনার তরী” কবিতায় ‘বাঁকা জল’ কীসের প্রতীক? | “সোনার তরী” কবিতায় ‘বাঁকা জল’ কালস্রোতের প্রতীক। |
১০. “সোনার তরী” কবিতায় ‘সোনার ধান’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? | “সোনার তরী” কবিতায় ‘সোনার ধান’ বলতে মানুষের/কবির সৃষ্টিকর্মকে বোঝানো হয়েছে। |
১১. “সোনার তরী” কবিতায় ‘নৌকা’ এবং ‘মাঝি’ কীসের প্রতীক? | “সোনার তরী” কবিতায় ‘নৌকা’ এবং ‘মাঝি’ মহাকালের প্রতীক। |
১২. “সোনার তরী” কবিতাটিতে কোন শব্দ কতবার আছে তার বিবরণ | * বর্ষা শব্দটি আছে – ২ বার । * ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই’ – ১ বার । * ঠাঁই নাই – ২ বার । * ‘দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে’ – ২ বার । * ‘সোনার তরী’ আছে – ১ বার । * তরণী – ১ বার । * তরী – ৪ বার । * ধান – ৪ বার । * নদী – ৩ বার । * বর্ষা – ২ বার । * ক্ষেত – ২ বার । |
১৩. “সোনার তরী” কবিতায় কৃষক কীসের বেদনা নিয়ে অনিবার্য মৃত্যুর প্রতীক্ষায় থাকে ? | নিঃসঙ্গ অপূর্ণতার বেদনা নিয়ে। |
১৪. ‘‘সোনার তরী’’ কবিতায় নিবিড়ভাবে কী মিশে আছে?- | ‘‘সোনার তরী’’ কবিতায় নিবিড়ভাবে মিশে আছে কবির জীবন দর্শন। |
১৫. “সোনার তরী” কবিতায় ‘বিদেশ’ শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে? | চিরায়ত শিল্পলোক। |
১৬. “সোনার তরী” কবিতায় কৃষক মাঝিকে কী অনুরোধ করেছিল? | কৃষক মাঝিকে সোনার ধান নৌকায় তুলে নিতে অনুরোধ করেছিল |
১৭. কখন “সোনার তরী” কবিতটি প্রকাশিত হয়? | ১৮৯৪ সালে। |
১৮. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন অনুভূতি সোনার তরী কবিতায় ব্যক্ত হয়েছে? | নিঃসঙ্গ বেদনা নিয়ে মহাকালের শূন্যতায় বিলীন হওয়ার ইঙ্গিত । |
১৯. “সোনার তরী” কবিতায় কয়টি চরিত্র পাওয়া যায়? | “সোনার তরী” কবিতায় দুটি চরিত্র পাওয়া যায়। |
২০. কবি কখন কিভাবে কোথায় “সোনার তরী” কবিতাটি লেখেন? | উত্তর : এই কবিতাটি তিনি ১২৯৮ বঙ্গাব্দে (১৮৯২ সালে) শিলাইদহে রচনা করেন। |
সোনার তরী কবিতার বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
১. “সোনার তরী কবিতায়” সোনার ধান নিয়ে তরী কোথায় চলে যায়?
ক. নদীতে
খ. সাগরে
গ. মোহনায়
ঘ. অজানা দেশে
উত্তরঃ ঘ. অজানা দেশে
২. ‘সোনার তরী’ কবিতায় কোথায় মেঘ গর্জন করার কথা বলা হয়েছে?
ক. পূর্বাকাশে
খ. পশ্চিমাকাশে
গ. আকাশ জুড়ে
ঘ. হিংস্র হয়ে
উত্তরঃ গ. আকাশ জুড়ে
৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম কী?
ক. বীরবল
খ. যাযাবর
গ. জগৎশেঠ
ঘ. ভানুসিংহ
উত্তরঃ ঘ. ভানুসিংহ
৪. ভরসা’ শব্দটির অর্থ কী?
ক. আশা
খ. নিরাশা
গ. বিশ্বাস
ঘ. মাঝি
উত্তরঃ ক. আশা
৫. থরে বিথরে’ শব্দটির অর্থ কী?
ক. ব্যবচ্ছেদ করে
খ. সুবিন্যস্ত করে
গ. এলোমেলো করে
ঘ. বিচ্ছিন্ন করে
উত্তরঃ খ. সুবিন্যস্ত করে
৬. “সোনার তরী কবিতায়” ক্ষুরধারা’ বলতে কী বুঝানো হয়েছে?
ক. তীব্র ভ্রƒকুটি
খ. ক্ষুর দ্বারা কোনো কিছু কাটা
গ. ক্ষুরের মতো ধারালো প্রবাহ বা স্রোত
ঘ. নদীর যে বাঁকটি ক্ষুরের মতো
উত্তরঃ গ. ক্ষুরের মতো ধারালো প্রবাহ বা স্রোত
৭. “সোনার তরী কবিতায়” কী কাটতে কাটতে বর্ষা এল?
ক. ধান
খ. আখ
গ. পাট
ঘ. ভুট্টা
উত্তরঃ ক. ধান
৮. ‘সোনার তরী’ কবিতায় মূলত কয়টি চরিত্রের সন্ধান মেলে?
ক. ৫টি
খ. ৩টি
গ. ২টি
ঘ. ৪টি
উত্তরঃ গ. ২টি
৯. “সোনার তরী’ কবিতায়” কী কাটা হল সারা?
ক. পাট
খ. ধান
গ. ঘাস
ঘ. আখ
উত্তরঃ খ. ধান
১০. সোনার তরীতে কেন কৃষকের ঠাঁই হলো না?
ক. তরীটা ছিল অত্যন্ত ছোট
খ. মাঝিটি ছিল খুব নিষ্ঠুর
গ. কৃষকের সোনার ধারে তরীটি ভরে গিয়েছিল
ঘ. সোনার তরীতে স্থান করে নেয়ার ব্যাপারে কৃষক উদাসীন ছিল
উত্তরঃ গ. কৃষকের সোনার ধারে তরীটি ভরে গিয়েছিল
১১. “সোনার তরী’ কবিতায়” কৃষক কিংবা কবির নি:সঙ্গ অবস্থা প্রকাশ পাচ্ছে কোনটির মাধ্যমে?
ক. আমি
খ. আমি একেলা
গ. খরপরা
ঘ. থরে বিথরে
উত্তরঃ খ. আমি একেলা
১২. “সোনার তরী’ কবিতায়” তরুছায়ামসী-মাখা’ বলতে কী বুঝানো হয়েছে?
ক. গাছপালার ছায়ায় কালচে রং মাখা
খ. গাছ হতে প্রস্তুতকৃত কলমের কালি
গ. গাছগুলোতে মেঘের যে ছায়া পড়েছে
ঘ. নদীতীরের অনিদ্য সুন্দর বৃক্ষরাজি
উত্তরঃ ক. গাছপালার ছায়ায় কালচে রং মাখা
১৩. “সোনার তরী’ কবিতায়” মাঝি মূলেতে তরী ভিড়ালো কেন?
ক. ফসলের জন্য
খ. কবির জন্য
গ. বৃষ্টি নামানোর জন্য
ঘ. স্রোতের জন্য
উত্তরঃ ক. ফসলের জন্য
১৪. “সোনার তরী’ কবিতায়” নির্বিকার মাঝিকে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কৃষক চেষ্টা করেছেন –
ক. তার সাথে পরিচয় পাওয়ার জন্য
খ. তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য
গ. তার সোনার ফসল তুলে নেয়ার জন্য
ঘ. তাকে নদী পার করার জন্য
উত্তরঃ গ. তার সোনার ফসল তুলে নেয়ার জন্য
১৫. সোনার তরী কবিতাটির নামকরণ ‘নিষ্ঠুর মহাকাল’ রাখা যেত নিচের কোন যুক্তিতে?
ক. চরিত্রের ভিত্তিতে
খ. বিষয়ের ভিত্তিতে
গ. অন্তর্নিহিত তাৎপর্যের ভিত্তিতে
ঘ. দার্শনিকতার ভিত্তিতে
উত্তরঃ ঘ. দার্শনিকতার ভিত্তিতে
তো দর্শক বন্ধুরা, সোনার তরী কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত আলোচনাটি এ পর্যন্তই। আশা করি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি সোনার তরী কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছেন।
সোনার তরী কবিতা
লেখকঃ রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর
গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা।
কূলে একা বসে’ আছি, নাহি ভরসা।
রাশি রাশি ভারা ভারা
ধান কাটা হ’ল সারা,
ভরা নদী ক্ষুরধারা
খর-পরশা।
কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা।
একখানি ছোট ক্ষেত আমি একেলা,
চারিদিকে বাঁকা জল করিছে খেলা।
পরপারে দেখি আঁকা
তরুছায়ামসীমাখা
গ্রামখানি মেঘে ঢাকা
প্রভাত বেলা।
এ পারেতে ছোট ক্ষেত আমি একেলা।
গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে!
দেখে’ যেন মনে হয় চিনি উহারে।
ভরা-পালে চলে যায়,
কোন দিকে নাহি চায়,
ঢেউগুলি নিরুপায়
ভাঙ্গে দু’ধারে,
দেখে’ যেন মনে হয় চিনি উহারে!
ওগো তুমি কোথা যাও কোন্ বিদেশে!
বারেক ভিড়াও তরী কূলেতে এসে!
যেয়ো যেথা যেতে চাও,
যারে খুসি তারে দাও
শুধু তুমি নিয়ে যাও
ক্ষণিক হেসে
আমার সোনার ধান কূলেতে এসে!
যত চাও তত লও তরণী পরে।
আর আছে?—আর নাই, দিয়েছি ভরে’।
এতকাল নদীকূলে
যাহা লয়ে ছিনু ভুলে’
সকলি দিলাম তুলে
থরে বিথরে
এখন আমারে লহ করুণা করে’!
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই! ছােট সে তরী
আমারি সােনার ধানে গিয়েছে ভরি’।
শ্রাবণ গগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে
রহিনু পড়ি’,
যাহা ছিল নিয়ে গেল সােনার তরী।
ফাল্গুন, ১২৯৮।