Table of Contents
ছাত্রদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য
আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন আজকে আলোচনা করব ছাত্রদের বিদায় অনুষ্ঠানের শিক্ষকের বক্তব্য নমুনা বক্তব্য নিম্নে উল্লেখ করা থাকবে এটি আপনারা দেখুন আশা করি অনেক ভালো লাগবে নিম্নে বিস্তারিত
দেখুন নামাজের সময় হয়েছে কিনা নামাজ পড়ুন।
ছাত্রদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য
ক্ষমা করো, ধৈর্য ধরো হোক সুন্দরতর বিদায়ের ক্ষণ ।মৃত্যু নয় ধ্বংস নয়, নহে বিচ্ছেদের ভয়। শুধু সমাপন। আজকের বিদায়ী অনুষ্ঠানের উপস্থিত মাননীয় প্রধান শিক্ষক, আমার সহকর্মী শিক্ষক শিক্ষাবৃন্দ সবার প্রতি জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। এবং মঞ্চে সম্মুখে উপবিষ্ট আমার প্রিয় শিক্ষার্থীদের জানাই আমার হৃদয়ের অন্তস্থলের এর শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
বিদায় মানে যেন বিচ্ছেদের এক কবিতা, যে কবিতা হৃদয়কে দুঃখ ভারাক্রান্ত করে, দু চোখ হয় অশ্রু সজল। আজ তোমাদের বিদায় বেলা। বিদায় অনুষ্ঠান। এই বিদায় কেবল ক্ষণিকের আজীবনের জন্য। হৃদয়ের স্মৃতিপটে তোমরা আমাদের হৃদয় থেকে যাবে। এই বিদায় আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া, নিজের অমৃত সম্ভাবনা মিলে ধরায়, নিজের যোগ্যতা, মেধা ও পরিশ্রম নিয়ে নিজের জীবন গড়ার পদক্ষেপ।
এই বিদায় নেয়াটাও যোগ্যতার। দীর্ঘ সময় ধরে পরিশ্রম করে, পড়াশোনা করে তোমরা এক একটা ধাপ উত্তীর্ণ হয়ে আজ বিদায়ের লক্ষ্যে উপস্থিত হয়েছো আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবার জন্য।
বিদ্যালয়ের প্রতিটি মুহূর্তে তোমাদের স্পর্শ লেগে আছে, এই বিদায়ের প্রাঙ্গনে তোমরা ভরিয়ে রেখেছো তোমাদের সরব উপস্থিতি মাধ্যমে, ভালো পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাও সাংস্কৃতিক প্রতিভার মাধ্যমে এই বিদ্যালয়কে তোমরা গর্বিত করেছ, সম্মানিত করেছ আমাদের সকলকে।
এই বিদ্যালয় থেকে তোমাদের শারীরিক বিদায় হলেও বিদ্যালয়ের অঙ্গন থেকে তোমাদের স্মৃতি কখনো মুছে যাবে না। এই জীবনের খেলাঘরে এই বিদায় যতটা দুঃখের ঠিক ততটাই আনন্দের কারণ জীবনের অমৃত সম্ভাবনা দেখে তোমরা এগিয়ে যাবে, মুঠো মুঠো কুড়িয়ে নেবে জীবনের সাফল্য সুধা।
জীবনের নানা অভিজ্ঞতা তোমাদের জীবনকে বৈচিত্র্যময় করবেন। তাই বলি এগিয়ে যেতে হলে মাঝে মাঝে ছেড়ে যেতে হয়, কাটাতে হয় মায়ার ইন্দ্রজাল।
তাই হযরত আলী রাঃ একটা বিখ্যাত উক্তি সবসময় মনে রাখবে, জীবন হোক কর্মময়, নিরন্তর ছুটে চলা, ঘুমানোর জন্য কবর পরেই রয়েছে। তোমাদের জীবনকে এমন ভাবে তোমরা সাজাবে যেন তোমাদের প্রতিটি আনন্দ তোমরাও উপভোগ করতে পারো। আলসেমি করে কেউ কখনো বড় কিছু হতে পারেনি।
যারা নিজের কম্ফর্টজন ভেঙে পরিশ্রম করেছে তারাই স্পর্শ করেছে সাফল্য চোড়া। তারাই অর্জন করেছে সম্মান ও খ্যাতি। কখনো বলবে না আমার তো মেধা নেই, আমি তো ব্রিলিয়ান্ট নই, মেধার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পরিশ্রম।
তুমি যত জানবে, যত পড়বে, যত অভিজ্ঞতা অর্জন করবে তোমার এগিয়ে চাওয়া কেউ রোধ করতে পারবে না। বিগত কয়েক বছর ধরে তোমাদেরকে আমাদের আন্তরিক ও ভালোবাসা অর্পণ করেছি। প্রয়োজনে কঠোর আচরণ করেছি যাতে তোমরা নিজেদের পড়াশোনা নিয়ে সিরিয়াস হও। যেন পরীক্ষায় ভালো সফল অর্জন করতে পারো।
এই বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ তোমাদের কখনোই ভুলবে না। আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো, বাগানে ফুটে থাকা ফুলের সৌন্দর্যের মতো আমরা আমাদের হৃদয়ের তুমাদের আজিবন রেখে দিব তোমরা আমাদের হৃদয়ে অমলিন হয়ে থাকবো।। তোমাদের এই বিদায় শুভ হোক।
তোমরা নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। এই সময়টা খুব স্পর্শকাতর। একেবারেই সময় নষ্ট করা যাবে না। ফেসবুক,Youtube ,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এসব তোমরা মনোযোগ নষ্ট করবে, এসবের কপাট বন্ধ করে দাও। অতিরিক্ত রাত জাগা যাবেনা অবশ্যই ভালোভাবে ঘুমাবে সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে।
কারণ এই সময়টা আর কখনোই ফিরে পাবে না এ সময়টা আর কখনোই ফিরে পাবে না। কথায় আছে সময় গেলে সাধন হবে নাএই কথাটি সবসময় মনে রাখবে । জীবনে অনেক কিছুই করতে পারবে কিন্তু পড়াশোনা শুরুটা গুরুত্বটা সঠিক সময় দিতে হবে। যারা পড়াশোনা না করে গুরুত্ব না দিয়ে অবহেলা করেছে তারা অনেকপদে পদে কষ্ট পাচ্ছে। এজন্য কখনো পড়াশোনাকে অবহেলা করবে না।
জীবন বড়ই কঠিন। তোমরা শিক্ষকের কথা মেনে চলো, যার বাবা-মার কথা মেনে চলো, তোমরা কে নিয়ে তাদের স্বপ্ন পূরণ কর। বিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল কর এবং সর্বোপরি তোমাদের নিজেকে আলোকিত মানুষ হিসাবে গড়ে তুলো। জীবনে সব সময়ই বড় স্বপ্ন দেখবে এবং সেটা অর্জনের জন্য পরিশ্রম করবে দেখবে তোমারা অনেক দূর এগিয়ে গেছো। বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে উপস্থিত সকলের প্রতি আমি আবারো আমার শ্রদ্ধেয় ভালোবাসা জানাচ্ছি।
এবং শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে আমার বক্তব্য শেষ করার আগে উরুগুয়ে একজন বিখ্যাত সাংবাদিক এদুয়ার্দোর একটা উদ্ধতি সবার কাছে শেয়ার করছি।
ইতিহাস কখনো বিদায় বলেনা, বলে আবার দেখা হবে। আল্লাহ হাফেজ।
এস এস সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য।
এইস এস সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য।
ডিগ্রী পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য।
অনার্স পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য।
মাস্টার্স পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য
ছাত্রদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য-বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য
২০২৪ সালের ssc/Hsc/ Honours/masters ব্যাচের বিদায় উপলক্ষে আয়োজিত আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত মাননীয় অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ,, প্রধান শিক্ষক, শ্রদ্ধেয় শিক্ষাকমন্ডলী, সম্মানিতন অভিভাবক বিন্দু ও পরম স্নেহের বিদায়ী ছাত্র ছাত্রীরা সবাইকে আমার সালাম ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
”আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু”
” কত বুক ভাঙ্গা গোপন ব্যথায় আজ কতগুলি প্রাণ কাঁদিতেছে কোথায়- পথিক! ওগো অভিমানী দূর পথিক! কেহ ভালবাসিল না ভেবে যেন আজো মিছে ব্যথাপেয়ে যেয়োনা,যাবে যাও, তুমি বুকে ব্যথা নিয়ে যেও না। আজ এই প্রিয় প্রতিষ্ঠান থেকে তোমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায়ের দিন । সময়ের প্রয়োজনে তোমাদের চলে যেতে হচ্ছে বৃহত্তর দিগন্তরের প্রাণে। কালের কালের আমোঘ নিয়তিতে এভাবে চলে আসা- যাওয়ার পর্ব। তবু, আমাদের হৃদয়ের আজ অত্যন্ত দুঃখ ভরাক্রন্ত।
বিদায়, যেন পাতা ঝরা নিঃশব্দ কোনদিন ,,
অভিযাত্রীক,
এই প্রতিষ্ঠানে তোমাদের যেতে মধুর অনেকগুলো দিন কেটেছে। তোমাদের পদভারে এই প্রাঙ্গণ ছিল মুখরিত। কঠোর অধ্য বসায়, নিরলস শ্রম আন্তরিক আগ্রহের নিজেদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ার সাধনার তোমরা সর্বদাই সচেষ্ট ছিলে, আজ ভবিষ্যতের সিঁড়িতে তোমরা যখন প্রজ্ঞার ছায়া ফেলতে চাচ্ছো তখনই বলি…
এই প্রতিষ্ঠানের স্মৃতিময় দিনগুলো আর প্রিয় শিক্ষক- শিক্ষিকাদের ঐকান্তিক অবদানের কথা যেন তোমরা ভুলে না যাও।এই বিদ্যানিকেতনের অভিজ্ঞতা ও ঐতিহ্য যেন হয় তোমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার প্রেরণা। তোমাদের সাথে আমাদের প্রীত্রিময় বন্ধন যেন অটুক থাকে আজীবন।
হে আলোর পথের যাত্রীরা, তোমরা দেশের আগামী দিনের কর্ণধার। তোমাদের অভিজ্ঞতা, অধ্যবসায় ও কর্তব্য নিষ্ঠা, সংযত আচরণ ,বিনম্র মনেবৃত্তি,সুনির্দিষঠ লক্ষ্যাভিসার, গভীর পাঠানো রাগ তোমাদের দান করুক মহত্ত্বের চারিত্রিক সম্পদ। মনে রেখো, লাখো শহীদের র*ক্তের বিনিময়ে আমাদের এই দেশ স্বাধীনতা অর্জন। শহীদের র*ক্ত তোমরা বৃথা যেতে দিও না।
জাতি আজ প্রত্যাশা করে দুঃখ, দারিদ্র অন্ধকার ঘুছিয়ে তোমরা গড়ে তুলবে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। হে বন্ধুরা, প্রত্যেক মানুষের অবশ্য কর্তব্য হলো শিক্ষা গ্রহণ করা। প্রত্যক্ষ মানুষের অবশ্য কর্তব্য হলো শিক্ষা গ্রহণ করা। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জ্ঞান অর্জন করতে হয়। অর্জিত জ্ঞানী সত্যি কারের জ্ঞান। পুস্তক সহায়ক শক্তিমাত্র। বিদ্যালয়ে আসে সবাই, আবার চলে যাবে সবাই। জীবনের এই নব দিগন্তরের উদ্দেশ্য তোমাদের এই অভিযাত্রা তোমাদের সামনে সোনালী দিন বয়ে আনুক।
গুরুজনদের বল উচ্চারিত কিছু বানী আজকের এই দিনে আমি তোমাদের মনে করিয়ে দিতে চাই..
*কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালো করে ভাবনা চিন্তা করবে।
*সকলকে সম্মান করো। বাবা-মা, শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে অচেনা মানুষদেরও।
*কাউকে দেখামাত্র তার সম্পর্কে ধারণা করে নিও না। একদিনে কাউকে চেনা যায় না।
*যে তোমায় সাহায্য করেছে তাকে কখনো ভুলে যেও না।
* দুর্নীতিতে কখনো প্রশ্রয় দিও না।
তোমাদের কর্মনিষ্ঠ, অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের ফসল নিয়ে তো মারা আনন্দে উদ্বেলিত হবে, আজকের এই বিদায় অনুষ্ঠানে সেদিনের প্রত্যাশা করছি। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করি তোমরা সুস্থ থাকো, দীর্ঘ জীবী হও, তোমাদের জীবন আনন্দে ভরে উঠুক। আমাদের স্মৃতিপটে চির স্মরণীয় হয়ে থাকুক আজকের এই দিনে প্রতিটি ক্ষণ, প্রতিটি মুহূর্ত।
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা,
” অতীতেরতীর হয়ে যে রাত্রে বহিব, দীর্ঘ শ্বাস,ঝরা বকুলের কান্না ব্যথিবে আকাশ,সেই ক্ষণে খুঁজে দেখো- কিছু মোর পিছে রহিলো সে তোমার প্রানের প্রান্তে: বিস্মৃতিপ্রদোষে হয়তো দিবে সে যদি, হয়তো ধরিবে কভু নাম- হারার স্বপ্নের মুরতি।
পরিশেষে প্রাণপ্রিয় সকল ছাত্র- ছাত্রীর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি। ধন্যবাদ সবাইকে । “ খোদা হাফেজ”
ক্রেডিটঃ prothomit.com