সাধারণ জ্ঞান

স্কুলের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য

বিদ্যালয়ের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য
1 min read

আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন আজকে আলোচনা করব ছাত্রদের বিদায় অনুষ্ঠানের শিক্ষকের বক্তব্য নমুনা বক্তব্য নিম্নে উল্লেখ করা থাকবে এটি আপনারা দেখুন আশা করি অনেক ভালো লাগবে নিম্নে বিস্তারিত

দেখুন নামাজের সময় হয়েছে কিনা নামাজ পড়ুন।

ছাত্রদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য

২০২৪ সালের ‍এসএসসি/Hsc/ Honours/masters ব্যাচের বিদায় উপলক্ষে আয়োজিত আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত মাননীয় অধ্যক্ষ,  উপাধ্যক্ষ,, প্রধান শিক্ষক,  শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মন্ডলী, সম্মানিতন অভিভাবক বিন্দু ও পরম স্নেহের  বিদায়ী ছাত্র ছাত্রীরা সবাইকে আমার সালাম ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

”আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু”

” কত বুক ভাঙ্গা গোপন ব্যথায় আজ কতগুলি প্রাণ কাঁদিতেছে কোথায়- পথিক! ওগো অভিমানী দূর পথিক! কেহ ভালবাসিল না ভেবে যেন আজো মিছে ব্যথাপেয়ে যেয়োনা,যাবে যাও, তুমি বুকে ব্যথা নিয়ে যেও না। আজ এই প্রিয় প্রতিষ্ঠান থেকে তোমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায়ের দিন ।  সময়ের প্রয়োজনে তোমাদের চলে যেতে হচ্ছে বৃহত্তর দিগন্তরের প্রাণে। কালের  কালের আমোঘ নিয়তিতে  এভাবে চলে আসা- যাওয়ার পর্ব। তবু, আমাদের হৃদয়ের আজ অত্যন্ত দুঃখ ভরাক্রন্ত। 

বিদায়, যেন পাতা ঝরা নিঃশব্দ কোনদিন ,,

অভিযাত্রীক,

 এই প্রতিষ্ঠানে তোমাদের যেতে মধুর অনেকগুলো দিন কেটেছে। তোমাদের পদভারে এই প্রাঙ্গণ ছিল মুখরিত। কঠোর অধ্য বসায়, নিরলস শ্রম আন্তরিক আগ্রহের নিজেদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ার সাধনার তোমরা সর্বদাই সচেষ্ট ছিলে, আজ ভবিষ্যতের সিঁড়িতে তোমরা যখন প্রজ্ঞার ছায়া ফেলতে চাচ্ছো তখনই বলি…

এই প্রতিষ্ঠানের স্মৃতিময় দিনগুলো আর প্রিয় শিক্ষক-  শিক্ষিকাদের ঐকান্তিক  অবদানের কথা যেন তোমরা ভুলে না যাও।এই বিদ্যানিকেতনের অভিজ্ঞতা ও ঐতিহ্য যেন হয় তোমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার প্রেরণা। তোমাদের সাথে আমাদের প্রীত্রিময় বন্ধন যেন অটুক থাকে আজীবন।

হে আলোর পথের যাত্রীরা, তোমরা দেশের আগামী দিনের কর্ণধার। তোমাদের অভিজ্ঞতা, অধ্যবসায় ও কর্তব্য নিষ্ঠা, সংযত আচরণ ,বিনম্র মনেবৃত্তি,সুনির্দিষঠ লক্ষ্যাভিসার, গভীর  পাঠানো রাগ তোমাদের দান করুক মহত্ত্বের চারিত্রিক সম্পদ। মনে রেখো, লাখো শহীদের র*ক্তের বিনিময়ে আমাদের এই দেশ স্বাধীনতা অর্জন। শহীদের র*ক্ত তোমরা বৃথা যেতে দিও না। 

জাতি আজ প্রত্যাশা করে দুঃখ, দারিদ্র অন্ধকার ঘুছিয়ে তোমরা গড়ে তুলবে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। হে বন্ধুরা, প্রত্যেক মানুষের অবশ্য কর্তব্য হলো শিক্ষা গ্রহণ করা। প্রত্যক্ষ মানুষের অবশ্য কর্তব্য হলো শিক্ষা গ্রহণ করা। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জ্ঞান অর্জন করতে হয়। অর্জিত জ্ঞানী সত্যি কারের জ্ঞান। পুস্তক সহায়ক শক্তিমাত্র। বিদ্যালয়ে আসে সবাই, আবার চলে যাবে সবাই। জীবনের এই নব দিগন্তরের উদ্দেশ্য তোমাদের এই অভিযাত্রা তোমাদের সামনে সোনালী দিন বয়ে আনুক। 

গুরুজনদের বল উচ্চারিত কিছু বানী আজকের এই দিনে আমি তোমাদের মনে করিয়ে দিতে চাই.. 

*কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালো করে ভাবনা চিন্তা করবে।

*সকলকে সম্মান করো। বাবা-মা, শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে অচেনা মানুষদেরও। 

*কাউকে দেখামাত্র তার সম্পর্কে ধারণা করে নিও না। একদিনে কাউকে চেনা যায় না।

*যে তোমায় সাহায্য করেছে তাকে কখনো ভুলে যেও না। 

* দুর্নীতিতে কখনো প্রশ্রয় দিও না।

 তোমাদের কর্মনিষ্ঠ, অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের ফসল নিয়ে তো মারা আনন্দে উদ্বেলিত হবে, আজকের এই বিদায় অনুষ্ঠানে সেদিনের প্রত্যাশা করছি। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করি তোমরা সুস্থ থাকো, দীর্ঘ জীবী হও, তোমাদের জীবন আনন্দে ভরে উঠুক। আমাদের  স্মৃতিপটে চির স্মরণীয় হয়ে থাকুক আজকের এই দিনে প্রতিটি ক্ষণ,  প্রতিটি মুহূর্ত। 

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা,

” অতীতেরতীর হয়ে যে  রাত্রে  বহিব, দীর্ঘ শ্বাস,ঝরা বকুলের কান্না ব্যথিবে  আকাশ,সেই ক্ষণে খুঁজে দেখো- কিছু মোর পিছে রহিলো সে তোমার প্রানের প্রান্তে: বিস্মৃতিপ্রদোষে হয়তো দিবে সে যদি, হয়তো ধরিবে কভু নাম- হারার স্বপ্নের মুরতি। 

পরিশেষে প্রাণপ্রিয় সকল ছাত্র- ছাত্রীর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি। ধন্যবাদ সবাইকে । “ খোদা হাফেজ”

ক্রেডিটঃ prothomit .com

4/5 - (4 votes)
admin

Leave a Comment

x