Table of Contents
ব্লুটুথ আমাদের কাছে অতি পরিচিত একটি শব্দ এবং এর ব্যাবহারও প্রায় আমরা সকলেই জানি। তবে আজকে আমরা জানবো ব্লুটুথ কি এবং ব্লুটুথ কিভাবে কাজ করে। সাথে ব্লুটুথের সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কেও জানবো।
ব্লুটুথ কি?
ব্লুটুথ হলো একটি ওয়্যারলেস প্রযুক্তি যার মাধ্যমে এক ডিভাইস হতে অন্য ডিভাইসের সাথে সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব। ছোট দূরত্বে বিভিন্ন ধরণের ডেটা (যেমন: অডিও, ভিডিও, ফাইল, চবি) পাঠাতে বা বিনিময় করতে এটি ব্যবহৃত হয়।
ব্লুটুথ কাকে বলে?
সাধারণত স্বল্প দূরত্বের ভেতর ডেটা আদান-প্রদানের জন্য তার বিহীন পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (PAN) প্রযুক্তিকে ব্লুটুথ বলে। যা স্বল্প দূরত্বে ডেটা আদান-প্রদানে ব্যবহৃত হয় ।
ব্লুটুথ এর কার্যকরী পাল্লা ১০ মিটার। তবে বিদ্যুৎ কোষের শক্তি বৃদ্ধি করে ১০০ মিটার পর্যন্ত বাড়ানো যায়। ব্লুটুথের স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে IEEE 802.15.1
ব্লুটুথ কিভাবে কাজ করে?
- রেডিও তরঙ্গ: ব্লুটুথ ডিভাইস 2.4 GHz ফ্রিকোয়েন্সিতে রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে সংযোগ স্থাপন করে।
- ফ্রিকুয়েন্সি হপিং: ব্লুটুথ হস্তক্ষেপ এড়াতে নিয়মিত ফ্রিকোয়েন্সি পরিবর্তন করে।
- প্রোফাইল: বিভিন্ন ধরণের ডিভাইসের জন্য বিভিন্ন প্রোফাইল ব্যবহার করা হয়।
ব্লুটুথের সুবিধা:
- ওয়্যারলেস: ব্লুটুথ ব্যাবহার করতে তারের প্রয়োজন হয় না।
- পোর্টেবল: ব্লুটুথ ছোট এবং হালকা।
- সহজ ব্যবহার: ব্লুটুথ ব্যাবহার করে সংযোগ স্থাপন করা অনেক সহজ।
- বিভিন্ন ডিভাইসের সাথে কাজ করে: ব্লুটুথ বিভিন্ন ধরণের ডিভাইসে ব্যাবহার করা যায়। যেমনঃ মোবাইল, কম্পিউটার ইত্যাদি
ব্লুটুথের অসুবিধা:
- সীমিত পরিসীমা: ব্লুটুথ অনেক সল্প দূরত্বের মধ্যে কাজ করে।
- নিরাপত্তা ঝুঁকি: ব্লুটুথ ব্যাবহারে হ্যা-কিংয়ের ঝুঁকি থাকে।
- বিদ্যুৎ খরচ: ব্লুটুথ ব্যাবহারে ডিভাইসের ব্যাটারি দ্রুত শেষ হতে পারে।
আর্টিকেল টি উপকারে আসলে অবশ্যই রেটিং দিবেন এবং কোনো ভুল হয়ে থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন।
ধন্যবাদ।